Header Ads

উপন্যাস: সুপ্রিয়া প্রিয়তমা পর্ব নয় – মূল্যায়ন

 পড়ুন উপন্যাস:  সুপ্রিয়া প্রিয়তমা পর্ব নয় – মূল্যায়ন (ছবিটির নিচে) 

নিবেদনউপন্যাসটির প্রেক্ষাপট

আশির দশকের প্রথম ভাগ। তখন মোবাইল ফোন আসেনি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলিফোনও ছিল না। তখন চিঠির মাধ্যমে প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ করতো সবাই। আর গ্রাম-গঞ্জে পাহাড়ি অঞ্চলে বৈদ্যুতিক বাতিও ছিল না। এরকম সময়-পরিবেশে যাপিত জীবনের কল্পকাহিনি  নিয়ে গড়া উপন্যাসটি। আশির দশকের সময়-পরিবেশ অনুধাবন করে উপন্যাসটির সকল পর্ব পড়তে থাকলে নিঃসন্দেহে আপনার ভালো লাগবে। এটি নবম পর্ব। প্রথম পর্ব হতে পড়ার অনুরোধ রইলো। প্রথম পর্বের লিংকটি এখানে দিয়ে দেয়া হলো https://bengali.pratilipi.com/series/supriya-priyatma-porbo-ek-anuprabesh-by-iqbal-jafu-abmqnd4trcwo


উপন্যাস: সুপ্রিয়া প্রিয়তমা

পর্ব নয় মূল্যায়ন

 

আজ হয়তো অমাবস্যার রাত। সমস্ত আকাশটা ঢেকে কালো মেঘ। জমাট অন্ধকার। সমস্ত পাহাড়ি এলাকা জুড়ে কিছুক্ষণ পর বর্ষণ নামবে হয়তো। আমার সমস্ত মন জুড়ে কিসের একটা উৎকণ্ঠা ক্ষনে ক্ষনে আমার শরীরটিকে ঝাঁকুনি দিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আমার সমস্ত মন জুড়ে একটা শূন্যতার হাহাকার! একটা বিরতিহীন বিষন্নতায় আমার সমস্ত মনে নিঃস্বঙ্গ-বেদনার অনুভূতি ছেয়ে গেছে।

আমি বৃষ্টিকে ভালোবাসি। বড্ড ভালোবাসি। তবে ঝড় জলোচ্ছ্বাসকে ভয় করি। পৃথিবী জুড়ে অন্ধকার নেমে প্রকৃতিটা যখন ঝড় বা কোন জলোচ্ছ্বাসের জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকে, তখন আমার ভয় লাগে। আমার সমস্ত মনটা সংকুচিত হয়ে ছোট্ট একটা বিন্দুতে পরিণত হয় !

আজ সারাদিন ধরে আমার মনটা ভীষণ খারাপ ছিলো। সমস্ত মনে একটা অন্ধকার সারাদিন ধরে বিরাজ করছিলো। স্মৃতির সার্চলাইট দিয়ে আমি কারণটা হাতড়ে বেড়িয়েছি। পাইনি! পাহাড়ি জনমানবহীন পরিবেশে সমাজ বিচ্ছিন্ন বাংলোয় কথা বলার একজন লোকও যখন পাওয়া যায় না, তখন নিঃসঙ্গ আমার মাঝে মাঝে এমন হয় - সারাটা মন জুড়ে অন্ধকার নেমে আসে। আমি তখন বিষন্নতার নদীতে নিজেকে হাবুডুবু খেতে দেখি!

পাপিষ্ঠা মিলির সাথে পরিচয়ের আগে প্রায়ই আমার এমন হতো। অফিস সেরে বাংলোয় যখন ফিরে আসতাম, তখন নিজেকে বড় অসহায় লাগতো। দেয়ালে সাঁটানো সূর্যমুখী ফুলটাকে দেখেই শেফালির কথা মনে পড়তো! আমার সমস্ত মনটা আরো খারাপ হয়ে যেতো। শেফালীকে পেতে মন চাইতো। শেফালির ইচ্ছা, আমি চাকরি না করি। বাড়িতে বসে নিজেদের খামার দেখাশোনা করি। চাকরি যদি করতেই হয়, পাহাড়ি এলাকায় কেন? ঢাকাতে কোন চাকরি নিলেই তো হয়! সে আমার সাথে ঢাকায় চলে আসে!

ঢাকাতে বসে হটিকালচারিস্টের কাজের সন্তুষ্টি কোথায়? শহর - সে তো ইট কাঠের কঠিন কারাগারে আবদ্ধ। নরম রসময়ি-উর্বরা মাটির সান্নিধ্য যে এখানে নেই ! এখানে দু-একটি অভিজাত গাছ, ছোট্ট এক টুকরা সবজি বাগান করা চলে। অর্থকরী উৎপাদনশীল বড় ফার্ম তো করা চলে না। একজন কৃষিবিদদের সার্বক্ষণিক কাজের জন্য শহুরে মাটি যে যথেষ্ট নয়! সে কথা শেফালী কে ক্রমেই বুঝাতে পারিনি। ঢাকাতে আমার পেশা অসংশ্লিষ্ট চাকরি যে আমার জন্য নয় ! তাহলে কৃষি শিক্ষার স্বার্থকতা কোথায়? আমি একজন কৃষিবিদ। কৃষির উন্নতির জন্য আমাকে কাজ করতে হবে। কারণে গ্রামের মাটি যে আমার কর্মক্ষেত্র। মাঝে মাঝে ভাবি - চাকরি না করলেই কি নয়? চাকরিটা ছেড়ে দিলে কেমন হয়?

শেফালীকে আজ আমার খুব মনে পড়ছে। কেন মনে পড়ছে - তা হয়তো বলতে পারব না। তবে বুঝতে পারি, ঠিক এই মুহূর্তে তাকে আমি কাছে পেতে চাই! খুব কাছে। কতদিন তাকে ভুলে ছিলাম! আমার মন হতে তাকে সরিয়ে অন্যকে বসতে দিয়েছিলাম। এটা হয়তো এক ধরনের মোহ। আমি তো এখন মোহ মুক্ত হতে পেরেছি। শেফালী কি আমাকে ক্ষমা করতে পারবে?

মাঝে মাঝে শেফালী আমার উপর খুব জেদ ধরে। এটা তার একটা মুদ্রাদোষ। মেয়েদের  ধরনের মুদ্রা দোষ কেন হয় - শেফালীকে জিজ্ঞেস করলে হয়তো বলত না। লজ্জা পেয়ে আমার বুকের মধ্যে মুখ লুকাতো এবং বলতো... তুমি বুঝবে না...

শেফালি সাজতে খুব ভালোবাসে। সুন্দর শাড়ি পড়ে সমস্ত শরীরে প্রসাধন মাখে। কপালের উপর ছোট্ট একটি টিপ এঁকে ঠোঁটে রং লাগায়। চোখের ভ্রুতে চিকন করে কাজল লাগায়। ঠোঁটে মিষ্টি এক টুকরো হাসি টেনে বলে….

এই দেখো তো, কেমন হয়েছে?...

কাজ করতে করতে ফিরে তাকাই, বলি..

ভালো….

সংক্ষিপ্ত উত্তরে শেফালী খুশি হতে পারে না। আরো কিছু পাবার আশায় দাঁড়িয়ে থাকে। কিছুক্ষণ পরে বলে….

এত কষ্ট করে সাজলাম! একটু দেখো না!

আহা, বললাম তো - ভালো দেখায়। এখন যাও। কাজ আছে আমার। বাড়িতে যে কয়দিন আছি, কাজগুলো সেরে রাখতে হবে।

বেশ যাবো। আমাকে একটা....

কি, চুমু? পারবোনা। আমার হাতে এখন খুব কাজ!

তাহলে আমিও যাব না। এই বসে রইলাম…..

শেফালী আমার গা ঘেঁষে বসে থাকে। আমি শেফালীকে বিস্মৃত হই। কাজের মাঝে ডুবে থাকি। ঘড়ির কাঁটাগুলো টিক টিক শব্দ করতে করতে বৃত্তের ঘরগুলো পেরুতে থাকে।

এক সময়ে শেফালির কান্নায় আমার কাজের সমাপ্তি ঘটে। কাজ রেখে তাকে ছুঁতে গেলেই রেগে আগুন হয়ে ওঠে। জোর করে জড়িয়ে ধরতে গেলেই ক্ষিপ্র পদে রুম থেকে বেরিয়ে রান্না ঘরে গিয়ে ঢুকে।

আম্মা সারাদিন কিচেনে এটা সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সারাদিন ধরে আমারও আর কিচেনে যাওয়া হয় না। বৈঠকখানায় বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা জমিয়ে দিনটা কাবার করে দিই।

রাতে খাবার সেরে শুতে গিয়ে দেখি - শেফালী খাটের নিচে ফ্লোরে মাদুর বিছিয়ে শুয়ে আছে। ছুঁতে গেলেই হাত-পা ছুঁড়ে আমাকে দূরে সরিয়ে দেয়।

আমি তখন সুযোগের অপেক্ষায় থাকি। এক সময়ে সুযোগ এসেও যায়। ঝাপটে ধরে চুমু খেতে থাকি। দুপুরের একটা চুমু বাড়তে বাড়তে কয়েক গুণ হয়ে পড়ে। শেফালী কাবু হয়ে যায়। আমার বুকের ভিতর মাথা রেখে কান্নার বান ডাকে। ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এক সময়ে শান্ত হয়ে যায়। দুহাতে তুলে নিয়ে আমি ওকে খাটের উপরে শুইয়ে দেই। তখন একটি প্রসঙ্গের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকে। আমি ওকে প্রবল জোরে বুকের মাঝে চেপে ধরি।

শেফালির জন্য এই মুহূর্তে আমার ভীষণ মায়া হচ্ছে। শেফালির কথা মনে হতেই মিলিকে মনে পড়ে। মিলির কথা মনে হতেই কেমন একটা ঘৃণায় আমার সমস্ত গা রিরি করে ওঠে। আমি তখন শেফালীকে ঘন ঘন স্মরণ করতে চেষ্টা করি। আমার চোখের পর্দায় শেফালী মিলিকে বিপরীতধর্মী দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে হয়। আমি দেখতে থাকি - দুজনে আমাকে পাবার জন্য যুদ্ধে নেমেছে। আমি মিলিকে ঘৃণা করতে থাকি। শেফালীকে ভালোবেসে তার দিকে এগোতে থাকি।

দক্ষিণ থেকে শো শো বাতাসের শব্দ আসছে। ঝড় আসছে হয়তো। বাংলোর দরজা জানালা বন্ধ করে সোফায় গিয়ে এলিয়ে পড়ি।

প্রবল শক্তি নিয়ে ঝড় বইছে। আমার কিছুদিন আগেকার ঝড়ের কথা মনে পড়ে গেলো। সেদিনও এমনি ঝড় বইছিলো। অজ্ঞান মিলিকে রাস্তা থেকে তুলে এনে ওই খাটের উপরে শুইয়ে দিয়েছিলাম।

….না না না ! মিলিকে আর আমি স্মরণ করতে চাই না। আমি তাকে ভুলে যেতে চাই। তার সাথে আমার যা কিছু ঘটে গেছে, তা অতীত। অতীতকে আমি স্মরণ করতে চাই না। আমি সবকিছু ভুলে যেতে চাই। সবকিছু

.....

ইচ্ছে করলেই কি ভুলে যাওয়া যায় পলাশ?...

কে, কে? কে কথা বলছে?....

আমি চতুর্দিকে কথা বলা লোকটিকে খুঁজে বেড়াই। কাউকে দেখতে পাই না। বাইরে গুমোট অন্ধকার। প্রবল ঝড়। সারা বাংলোতে শুধু আমি। আমি কথা বলা মানুষটিকে সভয়ে খুঁজতে থাকি। আমার মনের মাঝেও প্রবল ঝড় বইতে থাকে। সে ঝড়ের ভেতর আমি খুঁজে পাই এক অদৃশ্য কাউকে। দেখা যায় না। অথচ অনুভব করা যায়। আমি আবার তার কথা শুনতে পাই....

আমি পলাশ। তোমার বিবেক। কোথায় খুঁজছো তুমি আমাকে। আমি যে তোমাতেই আছি। উত্তর দাও। ইচ্ছে করলেই কি তুমি তাকে ভুলতে পারবে?

কেন পারবা না? আমাকে যে ভুলে যেতেই হবে !

ভুলে যদি যাবেই বা - তার সাথে তুমি ভালোবাসার অভিনয় কেন করলে?

আমি তো তার সাথে অভিনয় করতে চাইনি? সে- তো আমাকে সর্বক্ষণ তার নিজের দিকে ভুলায়ে রাখতে চেয়েছে

সেতো তোমাকে ভালোবাসে। ভালোবাসার মন নিয়েই তো সে তোমাকে পেতে চেয়েছে। তার তো কোন দোষ নেই !

কেন নেই? আমাকে পেতে চাওয়া তার অন্যায় !

কেন অন্যায়? ভালোবেসে কাউকে পেতে চাওয়া কি অন্যায়?

তা হয়তো নয়, কিন্তু আমি যে বিবাহিত?

তা তো তুমি তাকে জানতে দাও নি

চেয়েছি, বহুবার জানাতে চেয়েছি। সে তো শুনতে চাইনি

সে শুনতে চাইনি অন্য কিছু। ব্যাপারটা নয়। কারণ ব্যাপারে সন্দেহ করার মত পরিবেশ তার ছিলো না। তার জন্য তুমিই দায়ী।

দায়ী? আমি দায়ী কেন? কেন আমি দায়ী?

কারণ ব্যাপারটা তুমি গোপন করতে চেয়েছিলে

না, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা

অবশ্যই মিথ্যে নয়। তার প্রমাণ আছে

প্রমাণ? কিসের প্রমাণ?

মনে পড়ে?.. একদিন তোমরা সবাই পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছিলে। মিলি তোমাকে কলোনি বাজারের ছোট্ট একটি দোকানি কিশোরীর গল্প শুনিয়ে ছিলো। এবং নিজের পরিচয় তোমার কাছে ব্যক্ত করেছিলো।

হ্যাঁ, করেছিলো।

তুমিও তাকে চিনতে পেরেছিলে। পারোনি? শুধু কি তাই? মিলি যেদিন প্রথম তোমার অফিসে এলো, সেদিনও কি তুমি তাকে চিনতে পারোনি?

হ্যাঁ, পেরেছিলাম

তাহলে কেন মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলে?

হ্যাঁ হ্যাঁ, নিয়েছিলাম। আমি যে এখানে বড় একাকি ছিলাম! আমার যে একজন সঙ্গীর দরকার ছিলো! আমিও তো মানুষ! সামাজিক জীব! আমারও কথা বলার একজন লোক পেতে ইচ্ছে করে! আমিও তো তাকে আমার কথা বলার সঙ্গী হিসেবে পেতে চেয়েছিলাম। এর বেশি কিছুই তো নয়!

তুমি হয়তো এর বেশি কিছু চাওনি। তার সঙ্গত কারণ আছে। তার তো বেশি কিছু না চাওয়ার সঙ্গত কোন কারণ নেই!

কেন নেই? অতীত পরিচয়ের সূত্র ধরে তার কি এভাবে এগিয়ে আসা উচিত হয়েছে?

বিয়ের আগে তুমিও কি এই অতীত সূত্রটাকে টেনে আনতে কম চেষ্টা করেছো?

না, তার কোন প্রমাণ নেই

প্রমাণ তো আমার কাছেই রয়েছে। আমার কাছ থেকে জেনে নাও?

কিসের প্রমাণ আছে?

কেন? বিয়ের আগেকার দিনগুলোকে তোমার মনে পড়ে না? ফেলোশিপ শেষ করা পর্যন্ত বিয়ের আগের দিনটি পর্যন্ত মিলিকে না ভেবে থাকতে পারতে? কোন দিনটিতে তাকে নিয়ে কল্পনার জাল তুমি বুনোনি? নিউমার্কেট, গাউছিয়া, বায়তুল মোকাররম, রমনা পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন - যে সমস্ত জায়গা তুমি চষে বেড়াতে, কোন দিন হাজার মুখের ভিড়ে তুমি তাকে খুঁজে বেড়াও নি?

সেতো অতীত। অতীতে আমি তাকে ভালোবাসতাম। এখন বাসি না। এখন আমি শেফালীকে ভালোবাসি। শুধুমাত্র শেফালী কে

বাসো, বাসো। তুমি মিলি কেও ভালোবাসো। একইসাথে দুজনকে ভালোবাসার সাহস তোমার নেই। তোমার সে রকম মনের জোর নেই। সাহস নেই। তাই তো তোমার মন অতি সংকীর্ণ হয়ে আছে। আসলে তুমি মিলিকে এখনো ভালোবাসো। তোমার মনে মিলি শেফালী দুজনেই সমান্তরাল দুটি বলয়ে বিরাজ করছে। যখন যার কাছে থাকো, তখন তার আসন তোমার মনে আলোকিত হয়ে থাকে। তুমি তখন অন্যকে ভুলে যাও। তাইতো তুমি এতদিন শেফালীকে ভুলে গিয়ে মিলিকে নিয়ে মেতে ছিলে। এখন আবার শেফালীকে নিয়ে মেতে উঠেছো। মিলিকে ঘৃণা করছো? আসলে কি তুমি মিলিকে ঘৃণা করছো? ঘৃণা করছ না। মানুষ সমাজের কাছে, শুধু তাই নয়, মিলির কাছে ধরা পড়ার ভয়ে তুমি এখন মিলিকে অপবিত্রতা অপবাদ দিয়ে ঘৃণা করার ভান করছো। মিলিকে তুমি এখনো ভালোবাসো। ভালোবাসা কখনো মরে না। এটা অবিনশ্বর। পরিবেশের চাপে কখনো সুপ্ত থাকে, আবার পরিবেশ পেলে স্বরূপ নিয়ে প্রকাশ পায়!

না না! মিথ্যে কথা! আমি মিলিকে ভালোবাসি না। আমি ওকে হৃদয়ের সবটুকু দিয়ে তাকে ঘৃণা করি। তার উপস্থিতি এখন আমার কাছে অসহ্য লাগে! আমি তাকে ঘৃণা করি, ঘৃণা করি!.....

আমার ক্রূদ্ধ মূর্তির কাছে হেরে বিবেক পালিয়ে যায়। আমি ওকে খুঁজে বেড়াই। কোথাও খুঁজে পাই না।

আমার বিবেক আমার সত্তার মাঝেই লুকিয়ে গেছে হয়তো…..

 

 


কোন মন্তব্য নেই

50

Blogger দ্বারা পরিচালিত.